ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ভারতে বিক্রিতে বিশেষ সুবিধা চাইল আদানি

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১০-১২-২০২৪ ০৮:৩৩:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১০-১২-২০২৪ ০৮:৩৩:২৯ অপরাহ্ন
​বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ভারতে বিক্রিতে বিশেষ সুবিধা চাইল আদানি
ঝাড়খণ্ডে ভারতীয় শিল্প গোষ্ঠী আদানির প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের কয়লাভিত্তিক গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের একমাত্র ক্রেতা বাংলাদেশ। তবে নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় কিছুদিন আগে কোম্পানিটি ওই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ স্থানীয় বাজারে বিক্রির অনুমতি দেয় ভারত সরকার।
কিন্তু এবার সেই বিদ্যুৎ নিজ দেশে বিক্রিতে সরকারের কাছেও বিশেষ সুবিধা চেয়েছে শিল্প গোষ্ঠীটি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঝাড়খণ্ডের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত। এক্ষেত্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড় না দেয় তা বিক্রিতে কর পরিশোধ করতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো ইকোনমিক টাইমসকে জানিয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রে আমদানি করা কয়লা ব্যবহার করা হয়। এতে ভারতের বাজারের চেয়ে আদানির বিদ্যুতের দাম বেশি হয়ে যায়। ফলে গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
কারণ হিসেবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের গ্রাহকরা বিদ্যুতের দামের বিষয়ে অনেক বেশি স্পর্শকাতর। আর তাই বিদ্যুৎ বিক্রির পাশাপাশি প্লান্টের কয়লা আমদানিতেও শুল্কমুক্তির সুবিধা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে কোম্পানিটি। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু জানায়নি আদানি পাওয়ার লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
আদানির এই কেন্দ্র থেকে যে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়, তা দেশটির বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ। সেপ্টেম্বর শেষে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ আদানির পাওনা ৭৯ কোটি ডলারে পৌঁছায় বলে সংবাদে বলা হয়েছে। আদানির কর্মকর্তারা অক্টোবরে এ তথ্য দিলে পরে বাংলাদেশ কিছু বকেয়া পরিশোধ করে।
ভারতের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা নিয়ে অন্যান্য কোম্পানিও এর আগে ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে। ২০২০ সালে সোলার সেল ও মডিউলের ৬০ শতাংশই এসব অঞ্চলে উৎপাদিত হতো। কিন্তু তখন সরকার জানায়, সোলার প্যানেলের ওপর ৪০ শতাংশ ও সোলার সেলের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসবে।
কোম্পানিগুলো জানায়, এর ফলে স্থানীয় বাজারে তাদের পণ্য বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। তারা সরকারের কাছে ছাড়ের জন্য আবেদনও করে। এরপর বেশ কয়েকটি কোম্পানি এসব বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে তাদের কারখানা নিয়ে যায়।
ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি আদানির জন্য নতুন মাথাব্যথাও তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা কোম্পানির শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ডলারের বেশি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। আদানি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে তারা আদালতে বিষয়টি নিয়ে লড়বে।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ